খাদ্যের বিভিন্ন ভিটামিন এবং উপকারিতা জেনে নিন। Different Vitamins and Benefits of Food।

খাদ্যের বিভিন্ন ভিটামিন এবং  উপকারিতা

খাদ্যের বিভিন্ন ভিটামিন এবং  উপকারিতা

খাদ্যের বিভিন্ন ভিটামিন এবং  উপকারিতা জেনে নিন

Learn about the different vitamins and benefits of food.

দেহ পরিপোষক খাদ্যঃ  যেসব খাদ্য দেহের গঠন বৃদ্ধি ও শক্তি উৎপাদনের সহকারি তাদের দেহ পরিপোষক খাদ্য বলে।

যেমন শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট আমিষ বা প্রোটিন এবং পদার্থ বা ফ্যাট  লিপিড।

দেহ সংরক্ষক খাদ্য: যেসব খাদ্য দেহকে রোগ সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে কিন্তু শক্তি উৎপাদনের সহায়ক নয় তাদেরকে দেহ সংরক্ষক খাদ্য বলে। যেমন খাদ্যপ্রাণ ভিটামিন খনিজ পদার্থ বা মিনারেলস।

দেহের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে দেহকে সুস্থ-সবল ও কাজ করার জন্য সবল রাখার জন্য যেসব খাদ্য উপাদান প্রয়োজন সে সব উপাদান বিশিষ্ট দ্রব্যই খাদ্য। খাদ্য দেহের গঠন বৃদ্ধি ক্ষয়পূরণ রক্ষণাবেক্ষণ কর্মশক্তি প্রধান এবং রোগ প্রতিরোধের কাজ করে।

 শরীরের যথাযথ বৃদ্ধিতে এবং শরীরকে সবল রাখার জন্য সঠিক পরিমাণে উপযুক্ত খাবার খাওয়া খুবই দরকারি। বয়স অনুপাতে সঠিক উচ্চতা ও ওজন নেই যাদের এবং কাজের জন্য যারা যথেষ্ট শক্তি পায় না তারা মূলত পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। কোন কোন খাদ্য কি কি উপাদান বর্তমান তা আমাদের জানা প্রয়োজন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

প্রোটিন (আমিষ জাতীয় খাদ্য)

ডিম, মাছ ,মাংস, মেটে লিভার, গৌড়, কিডনি, চিজ ,সয়াবিন, চিনাবাদাম, ডাল, দুধ জাতীয় খাদ্য, ছানা প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাওয়া যায়।

উপকারিতা:

শরীরের তাপ উৎপাদন, দেহের হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণ, দেহতন্ত্র ক্ষতিপূরণের  উপাদানসমূহ নির্মাণ প্রোটিনের কাজ। শরীর গঠনের জন্য প্রোটিন অপরিহার্য।আমাশয় রোগে প্রোটিন বিশেষ প্রয়োজন।তাছাড়া শরীরের বৃদ্ধি, গ্রোথ, দেহের পুষ্টি এবং মেধা বাড়ানোর জন্য প্রোটিন অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।


কার্বোহাইড্রেট (শর্করা জাতীয় খাদ্য)

চাল, চিনি ,আটা, মিষ্টি, মধু, আম, মিশ্রি, গুড়, চিড়া, সাগু, বার্লি ইত্যাদিতে কার্বোহাইড্রেট বর্তমান।

উপকারিতা:

দৈনিক শক্তি কর্মোদ্যম, তাপ উৎপাদন ও চর্বির গঠনে কার্বোহাইড্রেট এর প্রধান কাজ।এ জাতীয় খাদ্য আমাদের দেহ গঠন ও সংরক্ষণের প্রধান উপাদান।যাদের রোগা শরীর তাদের মেদ বৃদ্ধির জন্য এটি বিশেষ প্রয়োজনীয়।

ফ্যাট বা চর্বি (স্নেহ জাতীয় খাদ্য)

মাংসের চর্বি, মাখন, হোল মিল্ক, আইসক্রিম, বাদাম, তেল, গি, বনস্পতি, নারকেল প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে।

উপকারিতা

কাজে উৎসাহ ও তৎপরতার জন্য ফ্যাট অপরিহার্য।শরীরের উত্তাপ উৎপাদন এবং চর্বি প্রস্তুতকরণ এ জাতীয় খাদ্যের প্রধান কাজ। দেহের কমনীয়তা রক্ষা ও দেহ লাবণ্যের জন্য চর্বি প্রয়োজন খুব বেশি।

মিনারেল

মাছ, শুকনো খাবার, মোয়া, শুকনো ফল,সরিষা, সবজি ,সবুজ শাক, মোচা, কাঁচকলা, ডুমুর, খাদ্য লবণে মিনারেল জাতীয় খাদ্য ও বর্তমান। এছাড়াও ক্যালসিয়াম ফসফরাস ও লৌহ জাতীয় খাদ্য এতে বর্তমান।

উপকারিতা

লবণ গঠিত উপাদান খাদ্য মাধ্যমে আমাদের রক্তে সঞ্চিত হয়। এটি রক্তবর্ধক। ক্যালসিয়ামের অভাবে অস্থিরোগ রিকেটস ইত্যাদি হয়। ক্যালসিয়াম রক্ত জমাট দাঁত গঠনে ও সংরক্ষণের সহায়ক।

ভিটামিন খাদ্যপ্রাণ

আমাদের শরীরের প্রয়োজন খুব বেশি। প্রয়োজন হিসেবে ভিটামিন কে কয়টি শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে:

ভিটামিনের প্রকারভেদ

ভিটামিন - এ

গাজর, টমেটো, পেঁপে, পাকা আম, মাখন, পালংশাক, ইলিশ মাছ, লিভার প্রভৃতিতে ভিটামিন-এ বর্তমান।

উপকারিতা

রাতকানা, মুখের ব্রণ, শরীরের বৃদ্ধি, পেটের অসুখ প্রভৃতিতে বিশেষ উপকারী।

ভিটামিন - বি

মুগ ডাল, ভেজানো ও অঙ্কুরিত ছোলা, ভুট্টা, কড়াইশুঁটি, সিম, ডিমের কুসুম, পালংশাক প্রভৃতিতে ভিটামিন-বি বর্তমান।

উপকারিতা

নার্ভ ও মস্তিষ্কের দুর্বলতা, নার্ভের ব্যথা, একটুতেই রেগে যাওয়া, অলসতা দৈহিক ও মানসিক পরিশ্রম, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদিতে ভিটামিন - বি জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন খুব বেশি।

ভিটামিন - সি

টক জাতীয় ফল, কমলালেবু, বাতাবি লেবু, তেতুল, পেয়ারা, আমলকি, আনারস, আখের রস প্রভৃতিতে ভিটামিন-সি বর্তমান।

উপকারিতা

সর্দি-কাশি, দাঁতের রক্ত পড়া, রক্ত চলাচলের পথ সুগম করা, শরীরের ব্যথা ও ব্লাড প্রেসারে খুব উপকারী।

ভিটামিন-ডি

ঘি, মাখন, দুধ, ডিমের কুসুম, সূর্যের আলো, লিভার অয়েল ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন- ডি পাওয়া যায়।

উপকারিতা

হাড় বৃদ্ধিতে ভিটামিন ডি এর প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি। যাদের দাঁতে পোকা হয়, রিকেট রোগ, মাংসপেশির কিট করে ধরে তাদের জন্য ভিটামিন ডি উপকারী। ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য ভিটামিন- ডি এর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

ভিটামিন-ই

অঙ্কুরিত ছোলা, বিণ, বুট জাতীয়, মটরশুটি, কড়াইশুঁটি, শিমের বিচি, প্রভৃতি খাদ্য ও সয়াবিন প্রভৃতিতে ভিটামিন ই বর্তমান।

উপকারিতা 

ভিটামিন-ই ভিটামিন রক্ত জমাট সহায়তা করে। অধিক রক্তপাত বন্ধ করাতে সাহায্য করে। ভিটামিন-ই প্রজনন গ্রন্থির বৃদ্ধি ও রক্ত সঞ্চয় এর সহায়ক মেয়েদের গর্ভস্থ সন্তানের পুষ্টির জন্য ভিটামিন-ই বিশেষ প্রয়োজন।

পানি

শোধ আদরি প্রভৃতি ব্যতীত অধিকাংশ রোগ পানির উত্তম পথ্য। শরীরের অপরাপর ক্রিয়ার সহায়ক হয়।কোষ্ঠকাঠিন্য ও প্রস্রাব পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।


2 Comments

Previous Post Next Post