কিডনি অসুখের লক্ষণ | কিডনি রোগ বোঝার উপায় | কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ! Kidney

কিডনি অসুখের লক্ষণ | কিডনি রোগ বোঝার উপায় | কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ! Kidney 

কিডনি অসুখের লক্ষণ | কিডনি রোগ বোঝার উপায় | কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ! Kidney

কিডনি অসুখের লক্ষণ | কিডনি রোগ বোঝার উপায় | কিডনি নষ্ট হবার লক্ষণ! - বাংলাদেশের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিডনি অসুখ ধরা পড়ে একদম ফাইনাল স্টেজে। যখন কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়ে দাঁড়ায় একমাত্র অপশন। এই অবস্থায় আমরা ডোনার না পাওয়া পর্যন্ত ডায়ালাইসিস রোগীর জাস্ট প্রাণ বাঁচিয়ে রাখতে পারি। ডায়ালাইসিস কখনোই কিডনি ভালো করতে পারে না। অথচ বাংলাদেশে প্রতি বছর নতুন করে 35 হাজার রোগী ডায়ালাইসিস নেওয়ার জন্য সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকে এবং সময়মত না পাওয়া কারণে প্রতিবছর প্রায় 20 হাজার রোগে মৃত্যুবরণ করে। তাই আপনি এবং আপনার প্রিয়জনকে নিরাপদ রাখতে চাইলে প্রাথমিক অবস্থায় কিডনির আইডেন্টিফাই করতে পারাটা খুবই জরুরী। তাই জেনে নিন কিডনি অসুখ এর  লক্ষণ যা দেখে আপনি সাবধান হতে পারেন।

কিডনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাংশন যেমন

  • ওয়াটার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা
  • মিনারেল ব্যালেন্স করা
  • দূষিত পদার্থ পরিস্কার করা
  • রেড ব্লাড সেল তৈরি করা
  • হাড় গঠন করা এবং
  • ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ এর কাজ করে। 
তাই কিডনির কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে এমন কিছু লক্ষণ দেখা দিবে যা দেখে আগে থেকেই সাবধান হওয়া যায়। এই লক্ষণগুলো কে আমরা চার ভাগে ভাগ করতে পারি -

  • অক্সিজেনের অভাব ও এনিমিয়া জনিত লক্ষণ
  • শরীরের দূষিত পদার্থ বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
  • শরীরে ফ্লুইড বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ
  • প্রস্রাবের অস্বাভাবিক পরিবর্তন


এগুলো থেকে বিস্তারিত জেনে নেই -

শরীরে অক্সিজেনের অভাব


কিডনি থেকে EPO HORMONE নামের হরমোন তৈরি হয় যা আমাদের রক্তের কণিকা অর্থাৎ রেড ব্লাড সেল তৈরিতে ভূমিকা রাখে। রক্তের এই লৌহ কণিকার  কাজ হচ্ছে সারা দেহে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়া। তাই কিডনি দুর্বল হয়ে পড়লে সারা শরীরে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে না। এটি এক ধরনের এনিমিয়া। এর ফলে যে উপসর্গগুলো দেখা দেয় তা হল-

  •  সব সময় অবসন্ন অনুভব করা। মনে হয় কোন কাজেই এনার্জি পাচ্ছে না। 
  • সব সময় তন্দ্রাচ্ছন্ন বা ঝিমুনি অনুভব করা।
  •  মাঝে মাঝে জ্ঞান হারানো।
  •  অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া। মানে সামান্য হাটা বা বাসে উঠলেই আপনার কষ্ট হবে।
  •  সারাক্ষণ শীত অনুভব করা। গরমের দিনেও অন্যরা হাঁসফাঁস করলেও আপনার ঠান্ডা লাগবে।


শরীরের টক্সিন বেড়ে যাওয়া


আপনার কিডনির প্রধান কাজ হচ্ছে আপনার শরীরের থেকে দূষিত ও বিষাক্ত ফিল্টার করে তা বের করে দেওয়া। কিডনি দুর্বল হয়ে পড়লে আপনার শরীরের স্বাভাবিকের তুলনায় টক্সিনের মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে এবং এর ফলে লক্ষণগুলো দেখা দিবে-
  • ভালোভাবে ঘুম না হওয়া। কারণ দেহের টক্সিন বেড়ে যাওয়ার কারণে বেড রিলাক্স হতে পারেনা।
  •  স্কিন ড্রাই হয়ে যাওয়া ও চুলকানি হওয়া।
  •  খাবারে অরুচি। 
  • মুখে দুর্গন্ধ হওয়া। অনেকটা রোজা থাকা অবস্থায় যেমন হয় ঠিক তেমন হওয়া।


শরীরে ফ্লুইড লেভেল বৃদ্ধি হওয়া


কিডনি ফাংশন এর সমস্যা হলে আমাদের দেহে ফ্যাট বেড়ে যেতে পারে এবং এর ফলে আপনার শরীরে যে লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে তা হলো -

  • ফুসফুসে পানি জমে যাওয়া। এর কারণে আপনি অল্পতেই হাঁপিয়ে যাবেন। 
  • মুখ বিশেষ করে চোখের নিচে ফুলে যাবে। 
  • হাত পায়ে পানি চলে আসবে


প্রস্রাবে লক্ষণীয় পরিবর্তন



  • প্রস্রাবের বেগে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যাওয়া। 
  • প্রস্রাব করতে কষ্ট হয়। অর্থাৎ অনেক চাপ দিয়ে প্রস্রাব করতে হয়। 
  • প্রস্রাবে ফেনা হওয়া এবং সাথে রক্ত। 
  • প্রস্রাবের অস্বাভাবিক রং বাদামি হালকা গোলাপী অথবা বেগুনি।
 কিডনির অসুখ কে সাইলেন্ট কিলার বলা হয়। কারণ বেশিরভাগ রোগী কিডনি একেবারেই অকেজো হওয়ার আগে কোন কিছুই বুঝতে পারে না। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ডায়ালাইসিস অথবা চিকিৎসা হলে কিডনি রোগ পুরোপুরি সুস্থ হয়


Previous Post Next Post