কিভাবে বুঝবেন আপনার হরমোন সমস্যা আছে?মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার সমাধান!Hormone problems Solutions

কিভাবে বুঝবেন আপনার হরমোন সমস্যা আছে?মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার সমাধান!

কিভাবে বুঝবেন আপনার হরমোন সমস্যা আছে?মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার সমাধান!
কিভাবে বুঝবেন আপনার হরমোন সমস্যা আছে?মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার সমাধান!

Hormone problems Solutions - হরমোন বর্তমানে  একটি প্রচলিত শব্দ। হরমোন নামটি শুনে নাই এমন লোক পাওয়া যাবেনা। হরমোন এক ধরনের কেমিক্যাল যা আমাদের অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে আসে। রক্তের মাধ্যমে গ্রন্থিগুলো শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। একটি হরমোনের কথা সবাই জানে। থাইরয়েড হরমোন। তবে থাইরয়েড ছাড়াও আরো অনেক হরমোন রয়েছে।

কিভাবে বুঝবেন আপনার হরমোনের সমস্যা হচ্ছে?



  • শিশু কিশোর কিশোরীদের ক্ষেত্রে খেয়াল করতে হবে যে যখন সে উচ্চতায় ঠিকমতো বাড়ছে না অথবা তার উচ্চতা হঠাৎ করে অতিরিক্ত লম্বা হয়ে যাওয়া এসব কিছু হরমোন জনিত সমস্যা।
  • বয়সন্ধির পরিবর্তন যদি ঠিক সময় না আসে। যেমন ছেলেদের সময় অনুযায়ী গোঁফ দাড়ি গজানোর পরিবর্তন না হওয়া, মেয়েদের ক্ষেত্রে তাদের সঠিক সময়ে ঋতুচক্র না হওয়া হরমোন জনিত সমস্যা।
  • আবার অল্প সময়ে যদি বয়সন্ধির পরিবর্তন চলে আসে সেটাও হরমোনজনিত সমস্যা
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্ব ঋতুচক্র অনিমে অনিয়মিত হওয়া হরমোনের বিশেষ লক্ষণ।
  • অতিরিক্ত ওজন হওয়া বয়সের আগেই ছেলেদের গোপন গজানোর হরমোন জনিত কারন
  • মুখে অতিরিক্ত ব্রণ হওয়া হরমোন জনিত কারন।
  • মহিলাদের বারবার গর্ভপাত হওয়া হরমোনজনিত সমস্যা
  • ডায়াবেটিকস একটি হরমোনজনিত রোগ এটি অনেকের কাছেই অজানা। ইনসুলিন নামক একটি হরমোনের অভাবে ডায়াবেটিকস হয়ে থাকে। 
  • অল্প বয়সে হাই প্রেসার হওয়া হরমোনজনিত রোগ


মেয়েদের হরমোন জনিত সমস্যার সমাধান! Hormone problems Solutions!


মেয়েদের শরীরে অনেক ধরনের হরমোন জটিলতা তৈরি করতে পারে। তার মধ্যে প্রথমে চলে আশে থাইরয়েড হরমোনের কথা। মহিলাদের হরমোন সমস্যার মধ্যে থাইরয়েড হরমোন অন্যতম। হরমোন কখনো বেশি তৈরি হয় আবার কখনও কখনও কম তৈরি হয়।

  • মেয়েদের মুখে, পেটে অথবা বুকে অতিরিক্ত লোম তৈরি হয়। এর সাথে মাসিক অনিয়ম দেখা যায় এবং ঘাড়ে অথবা বগলের নিচে কালো কালো দাগ তৈরি হওয়া।এই হরমোনের সমস্যা কাকে বলা হয় পলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোমপলিসিসটিক ওভারিয়ান সিনড্রোম এর জন্য ওজন বেড়ে যায়, কোলেস্টরেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য চমৎকার চিকিৎসা হচ্ছে ওজন কমানো। অতিরিক্ত ওজন যদি খাওয়া-দাওয়া ও হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে কমিয়ে আনা যায় তাহলে শতকরা 50 ভাগ এই রোগ এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। বাকিটা ওষুধ সেবনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
  • মেয়েদের আরেকটি হরমোনজনিত সমস্যা হচ্ছে  ProlactinProlactin অতিরিক্ত বেড়ে গেলে মেয়েদের মাসিক অনিয়ম, বাচ্চা হতে চায়না এবং অবিবাহিত মেয়েদের বুক থেকে দুধ নিঃসৃত হওয়ার একটি সম্ভবনা থাকে। এই রোগটি অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের কারণে হতে পারে আবার ব্রেন টিউমারের কারনেও হতে পারে। এই রোগ থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সঠিক চিকিৎসা নেওয়ার মাধ্যমে পুরোপুরি ভালো হওয়া সম্ভব। আমরা যে ধরনের হরমোন জনিত জটিলতায় পড়ি না কেন আমাদের সবার লজ্জা না পেয়ে এবং বিলম্ব না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই জরুরি। 
Previous Post Next Post