যাদেরকে রোজা না রাখার ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। জেনে নেই।

যাদের কে রোজা না রাখার ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। 




মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন -  যারা এই রমজান মাস পায় তারা যেন রোজা রাখে
আবার কিছু মানুষকে তাদের শারীরিক পরিস্থিতির কারণে রোজা না রাখতে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
এখন কথা হচ্ছে তারা কারা?

যাদেরকে রোজা না রাখার ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হয়েছে


১০ শ্রেণির মানুষকে মূলত শরিয়াহ  রোজা না রাখার ব্যাপারে ছাড় দিয়েছে। তাদের পরিস্থিতির আলোকে কোন সমস্যায় পড়লে তারা রোজা না রাখলেও চলবে।
 জেনে নেই সেই 10 শ্রেণীর মানুষ মূলত কারা -

 শিশু

শিশুদের রোজা না রাখার ব্যাপারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে শিশুদেরকে আস্তে আস্তে রোজা রাখার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে যখন তার প্রথম স্বপ্নদোষ হয় তখন থেকে তার রোজা রাখা ফরজ। আর মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে যখন তার সর্ব প্রথম পিরিয়ড হয় তখন থেকেই তার উপর রোজা রাখা ফরজ।

মানসিক ভারসাম্যহীন অথবা পাগল

মানসিক ভারসাম্যহীন অর্থাৎ যারা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত ভারসাম্যহীন লোক অথবা পাগল। তাদের উপর শরীয়াতের কোন হুকুম নেই। তারাও রোজা ভাঙতে পারবে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন তিন শ্রেণীর মানুষের উপর উপর থেকে শরীয়তের হুকুম উঠিয়ে নেওয়া হয়

  1. ছোট বাচ্চার উপর
  2. মানসিক ভারসাম্যহীন লোক
  3. এবং ঘুমন্ত ব্যক্তির কোন বিচার নেই


অসুস্থ

আপনি যদি অসুস্থ হন তাহলে আপনি রোজা ভাঙতে পারবেন। কিন্তু সাধারন কোন অসুস্থতার জন্য নয়। আপনি যদি অসুস্থতার এমন ভাবে চলে যান যে আপনার ওষুধ না খেলে প্রাণহানি ঘটতে পারে সেক্ষেত্রে শরিয়া আপনাকে ছাড় দিয়েছে।

মুসাফির

সফরকারী ব্যক্তি রোজা ভাঙতে পারবেন। যদি তিনি অধিক কষ্ট অনুভব করেন। কিন্তু অসুস্থ এবং সবরের কারণে যে কয়টি রোজা আপনাকে ভাঙতে হয়েছে পরবর্তীতে আপনাকে সেগুলো কাযা করে নিতে হবে।

খুবই বৃদ্ধ লোক

যাদের বয়স 80 থেকে 90 এর বেশি অথবা বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন। বয়সের কারণে উঠাবসা করতে পারেনা। কথা বলতে পারেনা এমনকি কাউকে দেখে চিনতেও পারে না। তাদের উপর শরীয়তের কলম চলে না। তাদের ব্যাপারে মহান আল্লাহ ছাড় দিয়েছেন।

কঠিন কর্মক্ষেত্র

কষ্টের কাজের ক্ষেত্রটা এতটা কঠিন যে তাদের পক্ষে রোজা রাখা সম্ভব নয় কিন্তু তাদের উচিত হবে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়ে রোজা আদায় করতে। এই কঠিন কাজ ছেড়ে দিয়ে যদি অন্য কোনো কাজের সুযোগ পায় যা দিয়ে সে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে তাহলে তিনি সেই কাজই করবেন এবং রোজা রাখবেন।

গর্ভবতী নারী

গর্ভাবস্থায় একজন নারী চাইলে রোজা ভাঙতে পারবেন কিন্তু তাকে যে কয়টি রোজা ভাঙতে হয় পরবর্তীতে তা আদায় করে নিতে হবে।


যে মা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ান

আমরা জানি মা যখন খাবার খায় সেই খাবার এর ফলে স্তনে দুধ আসে। তাই রোজা রাখার ফলে বাচ্চা দুধ পাবে না। সেক্ষেত্রে রোজা ভাঙ্গার অনুমতি আছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সে সকল রোজা কাযা করে নিতে হবে।

মাসিক বা পিরিয়ড

নারী বা মেয়েদের মাসিক বা পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে রোজা ভাঙ্গার বিধান রয়েছে। কিন্তু ফ্রি অর্ডার কারণে যে ক'টি রোজা ভাঙতে হয় পরবর্তীতে সেগুলো কাযা করে নিতে হবে।

বাচ্চা ডেলিভারি

বাচ্চা প্রসব করার পরেও একটি ডেলিভারি পিরিয়ড হয়। সেই সময় রোজা রাখতে হবে না। পরবর্তীতে সুস্থ হয়ে সেসব রোজা কাযা করে নিতে হবে।

আলোচনায় ছিলেন-  মিজানুর রহমান আল আজহারী

Previous Post Next Post