হার্ট অ্যাটাকের 12 টি লক্ষণ। হার্টের সমস্যার লক্ষণ।Heart Disease Symptoms! জেনে নিন!

হার্ট অ্যাটাকের 12 টি লক্ষণ। হার্টের সমস্যার লক্ষণ।Heart Disease Symptoms! জেনে নিন!


Heart Disease Symptoms and Signs

হার্ট অ্যাটাকের 12 টি লক্ষণ। হার্টের সমস্যার লক্ষণ।Heart Disease Symptoms-  সুস্থ-সবল লোকটির হার্ট অ্যাটাকে মারা গেল এই ধরনের খবর আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। কারণ World Health Organization(WHO)  এর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রতি জনের একজন হৃদরোগের কারণে মারা যায়। জেনে নিন হার্ট অ্যাটাকের অ্যাটাক এর 12 টি লক্ষণ। যা দেখে আপনি ও আপনার প্রিয়জন সাবধানতা অবলম্বন করতে পারে। এমনকি যথাযথ হার্ট অ্যাটাক এর চিকিৎসা নিতে পারে।Heart Disease Symptoms

তার আগে আমরা জেনে নেই হার্টের অসুখের ঝুঁকি  কাদের -

কাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক খুব  ঝুঁকি বেশি



  • পঞ্চাশের বেশি বয়স
  • বাড়তি ওজন
  • অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস
  • উচ্চ রক্তচাপ
  • রক্তের হাই কোলেস্টেরল
  • বংশগত জনিত

এগুলোর মধ্যে যেকোনো দুইটি লক্ষণ আপনার থেকে থাকলে এখনই সাবধানতা অবলম্বন করুন।

হার্টের অসুখের 12 টি লক্ষণ - Heart Disease Symptoms


বুকে ব্যথা অনুভব করা


 Heart Disease Symptoms and Signs-          সিনেমায় যেমন দেখাযায় বুকেব্যথা উঠলেই মাটিতে শুয়ে পড়া ।  বাস্তবে এমনটা সব সময় হয় না। বুকে ব্যথা অনুভব করা মানেই হার্টের সমস্যা তা কিন্তু নয়। হার্টের কারণে ব্যথা হলে বুকের নির্দিষ্ট এক জায়গায় না হয়ে পুরো বুক জুড়ে ব্যাথা হতে পারে। এই ব্যথা একটু হাঁটাহাঁটি করলে বা বসে থাকলেই চলে যায় না। আপনার যদি বুকের    ব্যথার সাথে তীব্র শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এমনকি ব্যথা হাড়ে কাঁধে বা শরীরের বাম হাতের দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং শরীর ঘেমে যায় তাহলে এটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই অবস্থা অনুভব করলে জরুরী হাসপাতালে চলে যাওয়া উত্তম।

বমি ভাব ও অরুচি

হার্ট ফাংশন দুর্বল হয়ে পড়লে আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম এর পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত পৌঁছায় না। এই কারণে আপনার হজমের সমস্যা, বুক জ্বালাপোড়া করা এবং এর ফলে খাবারের অরুচি ও কিছু খেতে গেলেই বমি ভাব দেখা দিতে পারে।



এনার্জির অভাব



শরীরের রক্ত সঞ্চালন কমে গেলে আমাদের সারা শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন ও ক্যালোরি পৌঁছাতে পারে না। তাই হার্ট দুর্বলতার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে সারাদিন নিজেকে দুর্বলতা ও এনার্জির অভাব অনুভব করা।

ঝিমুনি ভাব


হার্ট দুর্বল হলে ব্রেনে ব্লাড সাপ্লাই কমে যাওয়ার কারণে আমাদের ব্রেন ফুল ফাংশন করার মত শক্তি পায় না। ব্রেন অনেকটাই তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে তার ফাংশনগুলো চালু রাখার চেষ্টা করে। এই কারণেই আপনার বিশ্রাম ও ভালো ঘুম হওয়ার পরেও ঝিমুনি ভাব আসে। দেখা গেল মনোযোগ দিয়ে কোন কাজ করা যায় না।

অল্পতেই হাঁপিয়ে যাওয়া


শারীরিক কাজ করতে গেলে আমাদের হার্টে অধিক রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। তাই দুর্বল হার্টের আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে যাওয়া। আপনি যদি দেখেন সামান্য একটু হাঁটা বা অল্পতেই হাঁপিয়ে যাচ্ছেন এবং মুখ হা করে নিঃশ্বাস নিতে হচ্ছে তাহলে দেরি না করে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।


নাক ডাকা ও নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসা


ঘুমের মধ্যে অল্প-স্বল্প নাক ডাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত অনেক বেশি নাক ডাকেন এবং দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যদি ঘুম ভেঙ্গে যায় তাহলে এটা হার্টের অসুখের কারণে হতে পারে। কারণ আপনার পুষ্পরস যথাযথ অক্সিজেন সংগ্রহ করলেও হার্ট হাট তার সারা শরীরে পৌছাতে পারেনা।

হঠাৎ ঘেমে যাওয়া


শারীরিক বা মানসিক পরিশ্রম করলে অথবা গরমের কারণে ঘাম হতেই পারে। কিন্তু বিনা পরিশ্রমে এবং স্বাভাবিক আবহাওয়াতেও আপনি যদি হঠাৎ ঘেমে যান তাহলে এটি অবহেলা না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন। হার্ট অ্যাটাকের ওষুধ ছাড়াও কিডনি কিংবা থাইরয়েড জনিত কারনে লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

পায়ে পানি চলে আসা



আমাদের শরীর থেকে টক্সিন পরিষ্কার করার কাজ করে কিডনি। কিন্তু যদি আমাদের হার্ট দুর্বল হয়ে যায় তাহলে কিডনি ও পুরোপুরি কাজ করতে পারে না। এজন্যই শরীরে পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া এবং হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। এমনকি দিনে 2 থেকে 3 কেজি ওজন বেড়ে যেতে পারে।

অকারণে বুক ধড়ফড় করা


হার্ট অসুখের কারণে অকারণে বুক ধড়ফড় করতে থাকে।

দীর্ঘদিন ধরে কাশি


তিন সপ্তাহ বা তার বেশি কাশি থাকলে আমরা যক্ষা পরীক্ষা করতে বলি। যদি এরকম কিছু ধরা না পড়ার সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে আপনার কাছে থাকে এবং কফের রং সাদা বা হালকা গোলাপি হয় তাহলে এটা হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। কারণ হার্ট দুর্বল হলে ফুসফুসের রক্ত জমে। এজন্যই কাশের সৃষ্টি হয়।

অনিয়মিত হার্টবিট


সুস্থ ও স্বাভাবিক অবস্থায় আপনার হার্টবিট একই নিয়মে সারাদিন চলে। কিন্তু হার্টের সমস্যা থাকলে এটির রিদম চেঞ্জ হয়ে যায়। হঠাৎ করেই হার্টবিট অনেক উপরে উঠে যাবে।

ত্বকের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া


হার্ট  দুর্বল হলে ত্বকে রক্ত চলাচল কমে আসে। এইজন্যই ত্বকের রং একটু ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে এবং অক্সিজেনের অভাব টক্সিন জমে যাওয়ার কারণে কারো কারো ক্ষেত্রে ত্বকের রং নীলচে হয়ে যেতে পারে।

হার্টের অসুখ মারাত্মক আকার ধারণ করে যখন আপনি এই লক্ষণগুলো দেখা সত্বেও অবহেলা করেন। তাই প্রাথমিক অবস্থায় লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি বিলম্ব না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

Tags -heart disease symptoms,what is heart disease symptoms,what are heart problems symptoms,heart disease symptoms in women,heart disease leading cause of death
Previous Post Next Post