ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই- ইসলামী শরীয়তের ফতোয়া
মহা সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ফতোয়া অনুযায়ী ছোঁয়াচে রোগ সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই। ছোঁয়াচে রোগ বিশ্বাস করা হারাম ও কুফরী ও শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
করোনার অজুহাতে পবিত্র মসজিদসমূহে জামায়াত নিষিদ্ধ করা সম্মানিত আজান পরিবর্তন করা পবিত্র মসজিদসমূহে যেতে নিরুৎসাহিত করা এবং পবিত্র মসজিদসমূহ নিয়ে কটুক্তি করা কঠিন কুফরি হারাম ও জাহান্নামী হওয়ার কারণ।
করোনাভাইরাস মুসলমানদের জন্য কোন সমস্যা নয়।
করোনা ভাইরাস কোন ছোঁয়াচে রোগ মহামারী নয় এটা কাফিরদের জন্য একটা কঠিন গজব।করোনাভাইরাস কাফিরদের উপর আপতিত গজব
সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলের সকলের জন্য ফরযে আইন হচ্ছে , কোরআন শরীফ তেলাওয়াত এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ উনার ব্যাপক আয়োজন করা।
ছোঁয়াচে রোগ বা সংক্রামক রোগ বলতে কিছু নেই
ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু আছে বলে বিশ্বাস করা পবিত্র হাদীছ শরীফেের খিলাফ। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, হযরত আবু হুরাইরা আঃ , তিনি বর্ণনা করেছেন, আখিরী রাসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সংক্রামক বা ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নেই ,প্যাঁচার মধ্যে কুলক্ষণ নেই। তার দ্বারা ভাগ্য নির্ধারণ ও বৃষ্টি হওয়া বা না হওয়া ভিত্তিহীন এবং পবিত্র সফর মাসে অশুভ বলতে কিছু নেই। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ )
পবিত্র হাদীছ শরীফের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে হযরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন , আখেরি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, কোন রোগ সংক্রামক নয় এবং পবিত্র সফর মাসে কোন অসুবিধা নেই। তখন একজন বেদুইন সাহাবী বললেন , ইয়া রাসূলাল্লাহ ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম , তাহলে আমার উটের এই অবস্থা হলো কেন? যে ওগুলো হরিণের মত তরুতাজা ছিল যেগুলো ময়দানে স্বাধীনভাবে বিচরণ করতো এমতাবস্থায় কোথা থেকে এক চক্রান্ত এসে সে উটের পালে মিলিত হলো এবং এগুলোকে চর্মরোগে আক্রান্ত করে দিল। ফলে উটের খুজলি যুক্ত হলো ।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আচ্ছা তাহলে প্রথম উটটির চর্মরোগ কিভাবে হল? অর্থাৎ প্রথমটি যেভাবে খুজলি যুক্ত হয়েছিল ঠিক পরবর্তী গুলো সেভাবেই খুজলি যুক্ত হয়েছে অর্থাৎ ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই।
তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আচ্ছা তাহলে প্রথম উটটির চর্মরোগ কিভাবে হল? অর্থাৎ প্রথমটি যেভাবে খুজলি যুক্ত হয়েছিল ঠিক পরবর্তী গুলো সেভাবেই খুজলি যুক্ত হয়েছে অর্থাৎ ছোঁয়াচে বলতে কোন রোগ নেই।
উপরোক্ত হাদীছ শরীফ সহ আরো অনেক পবিত্র হাদীছ শরীফে মধ্যে ছোঁয়াচে বলে কোনো রোগ নেই এবং সমাজে বিশ্বাস করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত বলে সুস্পষ্টভাবে বলা সত্ত্বেও কাফেরদের কুফর ও মুসলমানদের চিকিৎকরা পবিত্র দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ গাফিল থাকার কারণেই শিরক সম্মিলিত মানুষের মধ্যে প্রচার করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মহা সম্মানিত ইসলামী শরীয়তের ওলামায়ে কেরাম।
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ এর বর্ণনা মতে ছোঁয়াচে রোগ নেই এ বিষয়ে কোনো প্রকার সুশীল করার সুযোগ নেই কিন্তু মুসলমান নামধারী অজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে কাফের এর আকিদাকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে মুসলমানদের ইমান-আকিদা নষ্ট করে যাচ্ছে।
করোনাভাইরাস ছোঁয়াচে রোগ বা মহামারী নয় বরং কাফিরদের উপর আপতিত একমহা গজব
ইসলামী শরীয়তের ওলামায়ে কেরাম বলেন - করোনা ভাইরাস হচ্ছে দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী মুসলিম বিদেশীদের উপর এক কঠিন গজব। কারণ তারা প্রায় সময়ই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যঙ্গচিত্র এঁকেছে ,প্রদর্শনী করেছে এবং প্রায়ই করত। প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এবং করত। সাথে সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু'মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মুবারক সম্পর্কে নানা অশ্লীল ও অশালীন মন্তব্য প্রকাশ করেছে বলেছে এবং লিখেছে। নাউজুবিল্লাহ। নাউজুবিল্লাহ । নাউজুবিল্লাহ।
করোনা ভাইরাস সহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী ও মুসলিম বিদ্বেষী চীন থেকে শুরু করে বিশ্বের সকল কাফির-মুশরিকদের নাযিল হওয়া অত্যন্ত কঠিন ও গজব। এই গজবে পড়ে বিশ্বের সকল কুপুরি শব্দগুলো আজ কুপোকাত। তারা আজ নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।
আসুন আমরা সকলে সতর্ক হই এবং কোরআন ও হাদিসের আলোকে সবাই সতর্ক থাকি এবং মেনে চলতে পারি। আমীন
করোনা ভাইরাস সহ পবিত্র দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী ও মুসলিম বিদ্বেষী চীন থেকে শুরু করে বিশ্বের সকল কাফির-মুশরিকদের নাযিল হওয়া অত্যন্ত কঠিন ও গজব। এই গজবে পড়ে বিশ্বের সকল কুপুরি শব্দগুলো আজ কুপোকাত। তারা আজ নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে।
আসুন আমরা সকলে সতর্ক হই এবং কোরআন ও হাদিসের আলোকে সবাই সতর্ক থাকি এবং মেনে চলতে পারি। আমীন
