Tibet is a Forbidden Country| তিব্বতকে কেন নিষিদ্ধ দেশ বলা হয়?

Tibet is a Forbidden Country |

তিব্বতকে কেন নিষিদ্ধ দেশ বলা হয়? 

Tibet

Tibet is a Forbidden Country |

Tibet . তিব্বত

তিব্বতকে কেন নিষিদ্ধ দেশ বলা হয়?

ভারত ও চীনের মতো দুটি প্রাচীন সভ্যতার মাঝে অবস্থিত হলেও তিব্বতের নিজস্ব ইতিহাস  ও সংস্কৃতি আছে। তিব্বত বর্তমানে চীনের একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল। তিব্বতের অনেক নাগরিক তিব্বতকে চীনের অংশ হিসেবে মানতে নারাজ। তিব্বতের আয়তন এক লক্ষ 17000 298 বর্গ কিলোমিটার। এর উত্তরে ভারত ও নেপাল এবং দক্ষিনে হিমালয় পর্বতমালা অবস্থিত। তিব্বতের চারপাশ পাহাড় পর্বত দিয়ে ঘেরা।

Tibet

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা প্রায় 15 হাজার থেকে 16 হাজার ফুট। এত উচ্চতায় প্রকৃতির সাথে লড়াই করে টিকে থাকা এক অদ্ভুত চ্যালেঞ্জ। তিব্বতের ইতিহাস মূলত তিব্বতের বৌদ্ধদের ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।

Tibet. তিব্বত

তিব্বতকে কেন নিষিদ্ধ দেশ বলা হয়?

তিব্বতের উপর দিয়ে কোন বিমান উড়ে না।
তিব্বত পাহাড় পর্বতে ঘেরা একটি দেশ। প্রতিটি পর্বতের উচ্চতা 6000 মিটারেরও বেশি হয়ে থাকে। আর তিব্বতের এভারেস্ট মার্ক আলম এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এর উচ্চতা আট হাজারেরও বেশি হয়ে থাকে। আপনাদের জানা উচিত যে কমার্শিয়াল বিমান কত উচ্চতায় চলাচল করে। কমার্শিয়াল বিমানগুলো সাধারণত এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাতায়াত করার জন্য 8000 মিটার এর কাছাকাছি উচ্চতায় চলাচল করে। কিন্তু তিব্বতে অসংখ্য পাহাড় পর্বত রয়েছে যার উচ্চতা 8 হাজার মিটার এর চাইতেও বেশি। যা বিমানের জন্য বলা চলে দেয়ালের মতো সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
আমরা সবাই জানি আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল চারটি স্তরে বিভক্ত রয়েছে।

1. Troposphere

2. Stratosphere

3. Mesosphere

4. Thermosphere

Tibet. তিব্বত

আর আমাদের পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে কাছের স্তরটি হচ্ছে ট্রপোস্ফিয়ার। যা মাটি থেকে সাতমাইল উপর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে আছে। এভারেস্টের উচ্চতা 5 মাইলেরও বেশি। তিব্বত পৃথিবীর তাপমাত্রার এমন একটি জায়গায় অবস্থিত যেখানে বায়ুমণ্ডলের একটি স্তর আরেকটি স্তরের সাথে মিলিত অবস্থায় রয়েছে। অধিকাংশ বিমান ট্রপোস্ফিয়ারের উপর দিয়ে চলাচল করে।

Tibet. তিব্বত

 কিন্তু স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর উপর দিয়ে বিমান চলাচল করতে পারে না। কারণ সেখানে অক্সিজেন সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এগুলোই হলো মুখ্য কারণ। সহজ করে বলতে হয় একেতো তিব্বতে এভারেস্টের মতো বিভিন্ন পর্বতের দেয়াল সেইসঙ্গে বায়ুমণ্ডলের স্তর এর মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে কোনোভাবেই কোনো কমার্শিয়াল বিমান চলাচল করতে পারে না। এ কারণেই তিব্বতের উপর দিয়ে কোন বিমান চলাচল করতে পারে না এবং করে না।