আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন!দাউদ ইব্রাহিম(Dawood Ibrahim)

আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন!দাউদ ইব্রাহিম(Dawood Ibrahim)

কোথায় আছে দাউদ ইব্রাহিম?

আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন!দাউদ ইব্রাহিম(Daoud Ibrahim)

আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন!দাউদ ইব্রাহিম(Dawood Ibrahim)

দাউদ ইব্রাহিম। আন্ডারওয়ার্ল্ডের অবিসংবাদিত ঈশ্বরের গল্প। তার নাম শুনে বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল খায়। এফবিআই এবং ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড পার্সোনাল নাম দাউদ ইব্রাহিম। যুগের পর যুগ ধরে ভারতের গুপ্ত সংস্থা র বাহিনী তন্ন তন্ন করে খুঁজে দাউদ ইব্রাহিমকে। হাজারো নিরীহ মানুষের অন্যায় প্রাণ কেড়ে নেওয়া এই ব্যক্তিটি কে খোঁজার জন্য কতইনা বেআইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শোনা যায় সে অমুক জায়গায় আছে তো মুখ জায়গায় আছে। অথচ তার খোঁজে সেখানে হানা দিলে লোকটার চুলের নাগাল পাওয়া যায় না। লোকটির নাম দাউদ ইব্রাহিম।
1955 সালের মুম্বাইয়ের ডংরি এলাকায় জন্ম। তার বাবা ইব্রাহিম কস্কো ছিলেন একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান পুলিশ কনস্টেবল। অনেক ধর্মভীরু মানুষ ছিলেন তিনি। নবী দাউদ ইব্রাহিম আলাই সাল্লাম এর নামানুসারে তার ছেলের নাম রেখেছিলেন দাউদ ইব্রাহিম ভেবেছিলেন তার ছেলে বিখ্যাত কেউ একজন হবে কিন্তু ছেলে বিখ্যাত হয়েছে  আন্ডারওয়ার্ল্ডের ডন হয়ে। সিনেমাকে হার মানিয়ে দেয় দাউদ ইব্রাহিমের কর্মকাণ্ড। অপরাধের সঙ্গে বসবাসের শুরুটা তার কিশোর বয়স থেকেই। মুম্বাই রেল স্টেশনের এক পথযাত্রীর টাকা ছিনতাই এর মাধ্যমে এ পথে হাটা শুরু করেন দাউদ ইব্রাহিম। বাবা শুনে ভীষণ মারলেন। কিন্তু বাবার এই কঠিন শাসন দাউদ ইব্রাহিমকে তার অপরাধ জগত থেকে ফিরতে সম্ভব হয়নি। বড় ভাই সাবের ইব্রাহিম এর হাত ধরে এই জগতে পা রাখলেন দাউদ ইব্রাহিম মুম্বাইয়ের প্রথম সুপারস্টার ডন হাজী মাস্তান এর হাত ধরে আন্ডারওয়ার্ল্ড দাউদ ইব্রাহিমের পথ চলা শুরু। আবার অনেকে বলেন সেসময়ের মুম্বাইয়ের আরেক হোতা করিম লালার হয়েও কাজ করেন তিনি।
মুম্বাইয়ে দুই নম্বরি কিছু করতে হলে সেটা অবশ্যই দাউদ ইব্রাহিমের অনুমতি নিয়ে করতে হবে। না হলে কখন যে বুকে বুলেট এসে বিধবে কিংবা ঘাড় থেকে মাথাটি আলাদা হবে সেটি দাউদ ইব্রাহিম ছাড়া কেউই জানতো না। আতি পাতি গুন্ডা থেকে সব রাঘববোয়াল ধরা পড়তে আরম্ভ করলো। অবস্থা বুঝে ভারত ছাড়লো দাউদ। আর পাড়ি জমালো মাফিয়াদের শহর দুবাইতে। সেখান থেকেই ভারতের অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে সে। সেইসঙ্গে ব্যবসা ও শুরু করল দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বাইয়ের আন্ডারওয়ার্ল্ড থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ হাতিয়েছে সে। শিপিং এয়ারলাইনস এমন কি প্রচুর পরিমাণে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে টাকা খাটিয়েছে সে। এরপর দাউদ ইব্রাহিমের নজর পড়েছে ক্রিকেট খেলার উপরে। ভারত পাকিস্তান এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্লেয়ার দের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তার। দাউদ ইব্রাহিমের হয়ে ম্যাচ ফিক্সিং-- করেছেন অনেক খেলোয়ার। কেউ স্বেচ্ছায় কেউবা বাধ্য হয়ে। বলিউডের ভালো প্রভাব ছিল দাউদ ইব্রাহিমের। দুবাই থেকেও ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ হারায় নি তিনি। এর কারণ তার ডান হাত ছোট শাকিল এবং তার আপন বোন হাসিনা পার্কার এর কারণে।
হিরোইন মারিজুয়ানা ড্রাগের সাপ্লায়ার ছিলেন তিনি। 2008 সালে মুম্বাই অ্যাটাক এ দাউদ ইব্রাহিমের হাত ছিল বলে অনেকেই দাবি করেন। সবাই জানে দাউদ ইব্রাহিম আছেন। ভারতের বিশিষ্ট এফবিআই ও র বাহিনী জানেন দাউদ আছেন। কিন্তু তাকে ধরাও যায়না ছোঁয়াও যায়না। এত অপরাধ করেও দাউদ ইব্রাহিম থেকে যায় সবার নাগালের বাহিরে।
Previous Post Next Post