Cristiano Ronaldo - মালির ছেলে রোনালদো!

Cristiano Ronaldo - মালির ছেলে রোনালদো!

রোনালদোর বেড়ে ওঠার গল্প!

Cristiano Ronaldo - মালির ছেলে রোনালদো!

Cristiano Ronaldo - মালির ছেলে রোনালদো!

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো 1985 সালের পাঁচই ফেব্রুয়ারি পর্তুগালের শহর অঞ্চল জন্মগ্রহণ করেন.। রোনালদো যখন তার মায়ের পেটে ছিলেন তখন তাদের সংসারের অভাব অনটনের কারণে তার বাবা তার মায়ের অ্যাকশনের জন্য বলেছিলেন। কিন্তু তার মা তাকে জন্ম দেন। এজন্য মাঝে মাঝে রোনালদো তার মায়ের সাথে দুষ্টুমি করে বলে তোমরা তো আমাকে জন্ম দিতে চাও নি। কিন্তু দেখো আজ আমি তোমাদের সব অভাব দূর করে দিলাম।
তার পুরো নাম হচ্ছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দস সন্তস। রোনালদোর বাবা তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের বড় একজন ফ্যান ছিলেন। তাই তার নাম অনুসারে তার ছেলের নাম রেখেছিল রোনালদো। রোনালদো তার বাল্যকালে তার পরিবারের সঙ্গে একটি টিনের ছাদের নিচে বসবাস করতেন। রোনালদোর পরিবারে তার বাবা-মা ছাড়াও তার আরো দুই ভাই ও এক বোন ছিল। রোনালদো তাঁর পরিবারের ছিল সবচেয়ে ছোট। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বাবা অভি শহরেরই একটি বাগান পরিষ্কার করা বা মালির কাজ করতো।
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো অনেক ছোটবেলা থেকে ফুটবল খেলার প্রতি আকৃষ্ট ছিল। ফুটবল ছিল তার কাছে নেশার মত। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ফুটবল খেলায় এতটাই পারদর্শী ছিল যে মাত্র আট বছর বয়সে পর্তুগালের স্থানীয় ক্লাব অ্যান্ড্রু রিনা তে চান্স পান।
রোনালদোর মায়ের নাম হচ্ছে মারিয়া। ছোটবেলা থেকেই রোনালদোর মা তাকে ক্রাই বেবি বলে ডাকত। কারণ ছোটবেলায় রোনালদো কোন ম্যাচ হেরে গেলে বা কোনো গোল না করতে পারলে কান্না করে দিত। রোনালদোর সুনাম দিন দিন এতই বেড়ে গিয়েছিল যে মাত্র 10 বছর বয়সে পর্তুগালের বিখ্যাত ক্লাব তাকে সদস্য বানিয়ে ভর্তি করিয়ে নেয়।
# লিসবন ক্লাবে সুযোগ পাওয়ার পর  Ronaldo মাত্র বাংলাদেশী টাকা পনেরশো টাকা বিনিময় একাডেমী সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। জন্য মাত্র 12 বছর বয়সে রোনালদো তার পরিবার ছেড়ে দূরে পাড়ি জমান। এত ছোট বয়সে পরিবারকে ছেড়ে দূরে পাড়ি জমাতে রোনালদোর অনেক কষ্ট হচ্ছিল।
# লিসবন থেকে খবর পান অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে রোনালদোর বাবা মারা যান। মদের কারণে তার বাবার মৃত্যু হওয়ার কারণে রোনালদো কখনোই মদ কে স্পর্শ করেননি। রোনালদোর বাবা ছিলেন পরিবারের একমাত্র আয়ের  উৎস। এজন্য তোমার বাবা মারা যাওয়ার পর তাদের পরিবারে অনেক ধাক্কা চলে আসে। নন্দর মা মারিয়া মানুষের বাসায় বাসায় কাজ করে সংসার চালানো শুরু করে। এবং রোনালদোকে তার খেলায় মনোযোগ দিতে বলেন। এজন্য রোনালদো তার মাকে আজও সঠিক জায়গায় রেখে সম্মান দিয়ে যাচ্ছেন।
# মাত্র 17 বছর বয়সে রোনালদো তার নিজ দেশের ক্লাবে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। রোনালদো অনেক ভালো খেলার কারণে মিডিয়ার চোখে পড়েন এবং পরে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চুক্তিবদ্ধ হন।
# 2003 সালে রোনালদো যখন 18 বছরে তখন 18 মিলিয়ন আমেরিকান ডলার জাপা 144 কোটি টাকার সমান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তাকে নিয়ে আসেন ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার ক্লাবে খেলার জন্য। এজন্য এক নিমিষেই রোনালদো গরিব থেকে মিলিয়নার হয়ে যান। তখনকার সময় দিয়েছিল highest-paid
দিনে দিনে নন্দ হয়ে উঠেছিলেন একটি ব্র্যান্ড। 2009 সালে স্পেনের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ রেকর্ড পরিমাণ 132 মিলিয়ন ইউএস ডলার যা প্রায় 12 কোটি টাকার সমান মূল্য দিয়ে তাদের দলে যোগ করেন। এটি ছিল ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার ফি। রিয়াল মাদ্রিদ এর সাথে রোনালদো চুক্তি ছিল 2009 সাল থেকে 2015 সাল পর্যন্ত। রিয়াল মাদ্রিদে এসে রোনালদো 15 টি ট্রফি জিতেছেন। এর মধ্যে দুটি হচ্ছে লা লিগা টাইটেল চারটি হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন লিগের টাইটেল। সবশেষে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাস 100 মিলিয়ন পাউন্ড প্রায় 100 কোটি টাকার মূল্য দিয়ে রোনালদোকে কিনে নেন। এটি ছিল 30 বছরের মধ্যে কোন প্লেয়ার এর জন্য সবচেয়ে বেশি ট্রানস্ফার ফি। নির্জন এক মাত্র প্লেয়ার সর্বমোট পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছেন। এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি প্লেয়ার। রোনালদো পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দানশীল প্লেয়ার। রোনালদোর নামে একটি এতিমখানা ও আছে। যেখানে 600 শিশুর দেখভালের দায়িত্ব তিনি নিজেই নিয়ে থাকেন। রোনালদো তার শরীরে কখনো ট্যাটু পর্যন্ত করেননি কারণ তিনি রেগুলার রক্ত দান করে থাকেন।

Previous Post Next Post