Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে রহস্য!

Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য!

Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য!

Bermuda Triangle, Missing Plane, Florida, Bahamas, America, Miami

Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য!

পৃথিবীর যতগুলো রহস্য নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে নানান ধরনের প্রশ্ন আছে তার মধ্যে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল অন্যতম।এই অঞ্চলটি Devil's Triangle বা শয়তানের ত্রিভুজ নামেও পরিচিত। বলা হয়ে থাকে এই অঞ্চলের উপর দিয়ে জাহাজ বা প্লেন গেলে চিরতরে গায়েব হয়ে যায়। আর ফিরে আসে না। এমন এক ধাঁধার নাম যা যুগের পর যুগ মানুষকে ভাবাচ্ছে। হাজারো চেষ্টা করেও এর সমাধান সূত্র খুঁজে পাচ্ছিল না বিজ্ঞানীরা।জন্ম নিয়েছিল একের পর এক রহস্য বড় এক বিস্ময়কর তথ্য।


  কিভাবে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের নাম devil's Triangle নামে পরিচিতি হল?


Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য!

Bermuda Triangle, Missing Plane, Florida, Bahamas, America, Devil's triangle


Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য!


 ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর ফ্লোরিডা থেকে 14 জন নেভি এয়ার্মেন প্রতিদিনের মত সেদিনও একটি প্লেনে করে প্র্যাকটিসে বের হয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফ্লাইট লিডার চার্লস টেইলর ফ্লোরিডার কন্ট্রোল রুম কে অ্যালার্ট করে একটি বার্তা পাঠান। তিনি বলেছিলেন তাদের সাথে খারাপ কিছু হচ্ছে।তাদের তিনটি কম্পাস ঠিকভাবে দিকনির্দেশনা দিতে পারছিল না। তারা পূর্ব-পশ্চিম দিক চিনতে পারছে না। সবকিছুই উল্টোপাল্টা হচ্ছে। চেনা সমুদ্রটা অচেনা হয়ে যাচ্ছে।  তারপর আর কোন সিগন্যাল ওই ফ্লাইট থেকে থেকে আসেনি।আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম অংশে Bermuda,Florida ও Puerto Ricoএর মাঝামাঝি কোন একটি স্থানে চিরতরে হারিয়ে যায় বিমানটি। বিমানটির নাম ছিল ফ্লাইট  ১৯।

 ঐদিন আরেকটি বিমানকে পাঠানো হয় ফ্লাইট ১৯ খোঁজার জন্য। কিন্তু ওই বিমানটি ফ্লোরিডা থেকে রওনা হওয়ার 7-8 মিনিট পর আর কোন সিগন্যাল পাঠায় নি। 13 জন মেম্বার সহ দ্বিতীয় বিমান হারিয়ে যায়। এরকম সব ভয়ঙ্কর কথা সবার আগে জানিয়েছিলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস। চৌদ্দশ 92 সালে। তিনি তার ক্রু মেম্বারদের সাথে আমেরিকার দিকে রওনা দিয়েছিলেন। তখন সমুদ্রে হঠাৎ আলোর খেলা দেখতে পান। এমনকি জাহাজের কম্পাস উল্টাপাল্টা করতে আরম্ভ করে। এসব দেখে জাহাজের সব ক্রু মেম্বাররা ভয় পেয়ে যান।বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল  Bermuda,Florida ও Puerto Rico মধ্যবর্তী আটলান্টিক মহাসাগরের পশ্চিম অংশে অবস্থিত ত্রিভুজ আকার এই অংশটি। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সত্যিই একটা রহস্যময় স্থান।


Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের রহস্য!

Bermuda Triangle, Missing Plane, Florida, Bahamas, America, Miami

গত শতাব্দীতে কয়েকশো জাহাজ ও বিমান বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের হারিয়ে যায়। ওইসব জাহাজ ও বিমান হারিয়ে যাওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জাহাজ এবং বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি। এইসব তথ্য শুনে আমরা ভাবছি বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল সত্যিই এক বিস্ময়কর স্থান। অনেকেই বলেছেন এগুলো এলিয়েনের কারসাজি। এলিয়েন রাই এইসব জাহাজ ও বিমান গায়েব করেছে। কেউ কেউ বলেছেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের নিচে বড় ধরনের একটি ফাটল রয়েছে।  সেই রহস্যময় ফাটলের পড়ে বিমান ও জাহাজ হারিয়ে যায়। অনেকেই ব্যাখ্যা করেছেন ফোর্থ ডাইমেনশন এর ব্যাপারে। তাদের মতে ওই অঞ্চলে কোন দরজা আছে। সেই দরজার মাধ্যমে অন্য পৃথিবীতে চলে যায় জাহাজ ও বিমান গুলো। জাহাজ এবং বিমানগুলো কিভাবে হারিয়ে গিয়েছিল তারা সঠিক তথ্য আজও সবার কাছে অজানা। রহস্যের খোঁজে বিজ্ঞানীরা তথ্য বের করার কাজ শুরু করে দেন এবং কিছু প্রমাণ ও তারা পেয়ে যান। যা প্রমাণ করে বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল কোন রহস্যময় স্থান নয়।

এবার জানা যাক কয়েকটি সমাধান সূত্র

আমেরিকার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল এ ঘটা দুর্ঘটনাগুলোর জন্য প্রধানত দায়ী 273 কিলোমিটার বেগে প্রবাহিত হওয়া বিধ্বংসী ঝড়। এই ঝড় সৃষ্টি হয় Hexagonal Clouds বা ষড়ভূজ মেঘ থেকে। ট্রায়াঙ্গেলের উপর মেঘ গুলো এমন ভাবে জমা হচ্ছে বা বায়ো বোমা তৈরি হচ্ছে। বিধ্বংসী ঝড়ের এতই ক্ষমতা যা জলের উপর আঘাত করলে সমুদ্রপৃষ্ঠে 40 থেকে 50 ফুট উঁচু বিশাল ঢেউ তৈরি হয়। যা একটি জাহাজ কে নিমিষেই তছনছ করে দিতে পারে। আর আকাশে উড়তে থাকা বিমানটিকে আঘাত করলে বিমান টিও তলিয়ে যায়।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে এতদিন যে জাহাজ ও বিমান হারিয়ে গেছে তার ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়নি কেন?

Bermuda Triangle- বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলে রহস্য!
Golf Steam
Bermuda Triangle, Missing Plane, Florida, Bahamas, America, Miami


আমরা জানি সমুদ্রের দু'ধরনের স্রোত রয়েছে।  1 কি হলো Golf Steam বা উষ্ণ স্রোত এবং অপরটি হলো শীতল স্রোত। উষ্ম স্রোতের বেগ অনেক বেশি হয়ে থাকে তাই একে বলা হয় মহা সমুদ্রের মাঝে এক নদী। স্রোতের মতো গলফ স্রোত ভাসমান বস্তুকে স্রোতের সাথে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। যার কারণে হয়তো বিধ্বস্ত জাহাজ ও বিমান এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি।

আরেকটি প্রশ্ন হল এই অঞ্চলে কম্পাস কেন ঠিকমতো কাজ করে না?

বিজ্ঞানীরা মনে করেন এই অঞ্চলের তাপমাত্রায় ইলেক্ট্রো মেগনেটিক সিস্টেম আছে যার ফলে ম্যাগনেটিক কম্পাস ঠিকমতো কাজ করে না। ফলস্বরূপ পাইলট নাবিকরা পথ হারিয়ে ফেলে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের তলদেশে প্রচুর পরিমাণে মিথেন গ্যাস আছে যার ফলে জাহাজ তলিয়ে যেতে পারে। বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের আশেপাশে বসবাসরত মানুষদের উপরে এর প্রভাব কখনোই পড়েনি।
বারমুডা ট্রাইএঙ্গেল কে বিস্ময়কর এক জায়গায় পরিণত করার পিছনে সবচেয়ে বড় হাত হল তখনকার সময়ের লেখকদের। বিভিন্ন লেখকরা তাদের লেখার মাঝে অনেক কল্পনার রং ছড়িয়ে দিয়েছেন।  বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল বা ডেভিলস ট্রাঙ্গেল অথবা শয়তানের ট্রাইংগেল বানিয়ে দিয়েছিলেন।
Previous Post Next Post